ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সংকট দেখা দেয় জ্বালানি তেলের। পরিস্থিতি সামাল দিতে তেলে জন্য ভেনেজুয়েলার দ্বারস্থ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার যুক্তরাজ্য দ্বারস্থ হচ্ছে সৌদি আরবের। তেলের উৎপাদন বাড়াতে আলাপচারিতার জন্য সৌদি আরবে গেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, বুধবার সৌদি আরবে পৌঁছান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর। ঠিক এর আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর করেন তিনি।
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১৪০ মার্কিন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছায়। বাড়তি এই দামে লাগাম টানার চেষ্টা করছেন বরিস জনসন। একই সঙ্গে রাশিয়ার তেলের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে ওঠার পথ খুঁজছেন তিনি।
প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। তেল উত্পাদনেও দেশটি রয়েছে প্রথম সারিতে। ইউক্রেন ইস্যু ঘিরে সম্প্রতি রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের মধ্যেই একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাজ্যের।
এদিকে আরব আমিরাত ও সৌদি আরব দুই দেশেরই রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব রয়েছে যুক্তরাজ্যেরও। দেশটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আরব আমিরাতের ১ হাজার ২০০ কোটি পাউন্ডের বাণিজ্য হয়েছে। একই বছরে সৌদি আরবের সঙ্গে দেশটির ১ হাজার ২৪০ কোটি পাউন্ডের যৌথ বাণিজ্য হয়।
Leave a Reply