ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, দেশটির কিয়েভ অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হচ্ছে রাশিয়া। চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে দেওয়া সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে তারা।
ইউক্রেনে রুশ অভিযান এক মাস পেরিয়ে গেছে। দেশটির বিভিন্ন শহরে রুশ হামলা অব্যাহত আছে। এর মধ্যেই যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ পর্যালোচনায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, কিয়েভে লড়াইরত রুশ সেনাবাহিনীর দুটি কৌশলগত দল উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। রুশ সেনাবাহিনী এখন এ দুই দলকে বেলারুশের দিকে সরিয়ে নিচ্ছে।
ওই হালনাগাদ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়া থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে যে সেনাদলগুলো এসেছে, তাদের সবারই উল্লেখযোগ্য মাত্রায় শক্তি কমেছে।
সম্প্রতি অপর একটি পর্যালোচনায় ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কৃষ্ণসাগর উপকূলে নৌ–অবরোধ আরোপের মধ্য দিয়ে কার্যত সমুদ্রপথে ইউক্রেনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া।
গত সপ্তাহে রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনে তাদের প্রথম ধাপের অভিযান শেষ হয়েছে। এখন ইউক্রেনের পূর্ব দিকে অভিযান পরিচালনার দিকে মনোযোগী হচ্ছে তারা।
ইউক্রেনে অভিযান শুরুর আগেই দেশটিতে মস্কোপন্থী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত দোনেত্স্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল রাশিয়া। সম্প্রতি মস্কো জানায়, ইউক্রেন অভিযানে তাদের নতুন লক্ষ্য হবে এই দুই অঞ্চলকে পুরোপুরি মুক্ত করা। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল (২৭ মার্চ) রবিবার লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রধান ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হতে এ অঞ্চলে গণভোটের আয়োজন করা হবে।
ওই ঘোষণার পরপরই ইউক্রেনে সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনকে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার মতো দুই ভাগে বিভক্ত করতে চেষ্টা করছে।
Leave a Reply