রাশিয়া থেকে সব ধরনের পণ্য ও সেবা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউক্রেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে রাশিয়া ছিল ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য অংশীদার। ইউক্রেন প্রতিবছর প্রায় ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করত রাশিয়া থেকে। নিজেরা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য দেশগুলোকে মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভ। আজ (১০ এপ্রিল) রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
রাশিয়া থেকে সব ধরনের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিভরিডেঙ্কো। গতকাল (৯এপ্রিল) শনিবার নিজের ফেসবুক পেজে এমন ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়া থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছি। এ মুহূর্ত থেকে রাশিয়ার কোনো পণ্য আমাদের দেশে কেউ আমদানি করতে পারবে না।’
এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে কোনো পণ্য ও সেবার বিনিময় দৃশ্যত হয়নি। তবে গতকাল (৯এপ্রিল) শনিবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কারণে রাশিয়া থেকে ইউক্রেনে পণ্য আমদানি আইনত নিষিদ্ধ করা হলো।
ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিভরিডেঙ্কো পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘শত্রুদের বাজেট আর আমাদের অর্থ পাবে না। এতে যুদ্ধে অর্থায়ন করার ক্ষমতা কমে যাবে। ইউক্রেনের এমন পদক্ষেপ আমাদের পশ্চিমা মিত্রদেশগুলোর জন্য উদাহরণ হতে পারে। এতে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মাত্রা বাড়ানোর উদ্দীপনা পাবে। এর মধ্যে তারা রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও রাশিয়ার সব ব্যাংককে একঘরে করে দিতে পারবে।’
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অসংখ্যবার পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন ঠেকাতে দেশটিতে অন্যান্য পণ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
ইউক্রেনে সামরিক হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এক প্রতিবেদন এ বলা হয়েছে, এর আগে এতটা কঠোর নিষেধাজ্ঞায় মস্কো কখনো পড়েনি। একের পর এক এসব নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়া ইতিমধ্যে একঘরে হয়ে পড়েছে। গতকাল (৯এপ্রিল) শনিবার কিয়েভ সফরে গিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। শিগগিরই এসব নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply